এই মুহূর্তে




জামায়াতের আমিরকে রাষ্ট্রপতি করার চাপ ছাত্র জোট নেতাদের, ইস্তফার হুমকি ইউনূসের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরাতে আদাজল খেয়ে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আর ওই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ছাত্র জোটের দুই সমন্বয়ক তথা জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের দুই নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপরে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সাহাবুদ্দিনকে সরানোর জন্য উদ্যোগ নিতে চাপ তৈরি করেছেন দুই পাণ্ডা। এমনকি জামায়াত ইসলামীর প্রধান তথা আমির শফিকুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোরও দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু ওই দাবি মানতে রাজি হননি ইউনূস। পাল্টা তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘সরকারের কাজের ব্যাপারে নাক গলালে ইস্তফা দিয়ে চলে যাব।’

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরাতে আদাজল খেয়ে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আর ওই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ছাত্র জোটের দুই সমন্বয়ক তথা জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের দুই নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপরে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সাহাবুদ্দিনকে সরানোর জন্য উদ্যোগ নিতে চাপ তৈরি করেছেন দুই পাণ্ডা। এমনকি জামায়াত ইসলামীর প্রধান তথা আমির শফিকুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোরও দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু ওই দাবি মানতে রাজি হননি ইউনূস। পাল্টা তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘সরকারের কাজের ব্যাপারে নাক গলালে ইস্তফা দিয়ে চলে যাব।’

গত কয়েকদিন ধরেই দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসাবে পরিচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতা তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সারজিস আলম-হাসনাত আবদুল্লাহরা। এমনকি বঙ্গভবনও ঘেরাও করেছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতেও সুর চড়িয়েছেন দু’জনে। আর তাদের পিছন থেকে মদত দিয়ে যাচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী তথা জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা মাহফুজ আলম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে থাকা অধিকাংশ সদস্যই এই দুই সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতির অপসারণ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কার্যত আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেশে ফের সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির পাঁয়তারার অংশীদার হবেন না তাঁরা। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকার যে রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করবে না এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের রাস্তায় হাঁটবে না, তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ইউনূস। প্রথমে রাষ্ট্রপতি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আমেদকে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাঁকে বোঝাতে ৪০ মিনিট ধরে একান্ত বৈঠকও করেছিলেন আসইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। যদিও রাষ্ট্রপতি পদে বসার আগ্রহ দেখাননি প্রধান বিচারপতি। তার পরেই আস্তিন থেকে সাপ বের করার মতো জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর দাবি জানায় ছাত্র জোটের নেতারা। তাদের সাফ কথা, মুসলিম প্রধান দেশে জামায়াতের আমিরকে রাষ্ট্রপতি বসানো হলে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে বিশেষ বার্তা দেওয়া যাবে এবং সৌদি আরব-সহ একাধিক মুসলিম দেশ থেকে বিশেষ খয়রাতি সাহায্যও পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে চিরতরে মুছে নতুন ধারার রাজনীতি চালু করা যাবে। কিন্তু জামায়াত আমিরকে রাষ্ট্রপতি পদে মানতে রাজি হননি মুহাম্মদ ইউনূস। জোর করলে তিনি ইস্তফা দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ট্রাম্পের বার্তায় রাতের ঘুম উবেছে ইসলামি জিহাদিদের পাণ্ডা মোল্লা ইউনূসের

ইউনূসের ঘুম কেড়ে বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

ফের উত্তাল ঢাকা, এরশাদের দলের কার্যালয় পুড়িয়ে দিল জামায়াত সন্ত্রাসীরা

ইউনূসকে ‘সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট’ বলে আক্রমণ হাসিনা পুত্র জয়ের

তিন দিনেই শেষ চট্টগ্রাম টেস্ট, টাইগারদের চুনকাম করল আফ্রিকার সিংহরা

বাংলাদেশে ৬ মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন, বাদ গেল বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার নাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর