এই মুহূর্তে




জানুন দক্ষিণেশ্বরে কালীপুজোর মহাভোগে কী থাকছে, রইল বিশেষ প্রণালী




নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ হল কালীপুজো। মাকে বরন করে নিতে ব্যস্ত ভক্তরা। প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। কালীপুজোর কথা উঠলেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মা ভবতারিনী মন্দিরের কথা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দেবী কালী ভবতারিণী রূপে পুজিতা হন। কালীপুজোর দিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। মায়ের পুজোর পাশাপাশি ভোগের অপেক্ষাতেও থাকেন তাঁরা।

কালীপুজোর দিন দেবীর ভোগেও দেওয়া হয় নানান রকমের খাবার। ভোগে আছে নানা বিশেষত্ব। এই নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের অছি পরিষদের বর্তমান সম্পাদক কুশল চৌধুরী জানান, ‘অন্নভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় ভাত ও ঘি ভাত। সঙ্গে থাকে পাঁচ রকম তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজা ও পাঁচ রকমের মাছ, চাটনি, পায়েস এবং পাঁচ রকমের মিষ্টি। এক সময়ে বলি প্রথা থাকলেও, বহু কাল আগে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

তবে মায়ের ভোগে থাকে না মাংস। মায়ের ভোগের দায়িত্বে থাকেন সেবাইতরা। এখনও শ্রীরামকৃষ্ণ যে ভাবে পুজো করতেন সেই ভাবেই আরাধনা করা হয় দেবীর। মায়ের ভোগ ছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্যও আলাদা করে ভোগ রান্না হয় কালীপুজোর দিন। থাকেন বিশেষ অতিথি। অতিথিদের তালিকায় থাকেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও।

তবে এবারে মন্দিরের ভোগের দায়িত্বে রয়েছেন শুভজিৎ ভট্টাচার্য। এই নিয়ে শুভজিৎ জানান, ‘কালীপুজোর দিন এই রাজ্যে তো বটেই রাজ্যের বাইরেও ভোগের প্রসাদ পাঠানো হয় বিশেষ অতিথিদের কাছে। ওঁদের দাবি অনুযায়ী এমন রান্না করতে হবে, আর এক বাক্স থেকে অনেকে মিলে যেন ভোগ করে খেতে পারেন। তবে গত বছর ভোগের মেনুতে ছিল ঘি ভাত, আলু ফুলকপির তরকারি, কমলা সন্দেশ, জাউ পিঠা। জাউ পিঠা মূলত বরিশালের একটি মিষ্টির পদ। চালের খুদ, দুধ আর নাককেল বাটা দিয়েই মূলত রান্নাটি করা হয়। খানিকটা ফিরনির মতো হয় বিষয়টি। প্রায় ১২০০ লোকের জন্য রান্না করা হয়েছিল সেই ভোগ, প্রায় দু’দিন ধরে চলেছিল রান্নার পর্ব। আমাদের পাশাপাশি ৩-৪ জন ঠাকুর ছিলেন, ১০-১২ জন ছিলেন জোগাড়ে ছিলেন, প্যাকিংয়ের দায়িত্বে হাত লাগিয়েছিলেন অনেকেই। আমাদের পরিবারের লোকজনেও ছিলেন সেই তালিকায়।’

আরও পড়ুন : জানেন কী দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মায়ের আসল নাম ?

এই বছর মহাভোগে কি থাকছে এই নিয়ে শুভজিৎ বলেন, বানানোর দায়িত্ব অনেকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অন্ন ও তরকারি বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেনুতে থাকছে বাসন্তী পোলাও আর ধোঁকার ডালনা। ধোঁকার ডালনা তৈরির সময় আমি আমার দিদার প্রণালী মেনে চলি।’

ধোঁকার ডালনা : ধোঁকার ডালনা বানাতে গেলে ছোলার ডাল আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেই ডাল সেদ্ধ করে নিয়ে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে আদা বাটা, হিং, গরমমশলা গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা বাটা, জিরে আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে তৈরি ভাজা মশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, লবন চিনি আর ভাজা জিরে সামান্য দানা রেখে গুঁড়ো করে নিয়ে সেই গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে পাক দিয়ে দিন। খুব বেশি ক্ষণ না, মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এলেই কড়াই থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে সেট করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ভেজে দিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, হিং আর গরমমশলা দিয়ে কষিয়ে ফেটিয়ে রাখা টক দই দিয়ে দিন। এবার পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। তার উপর ঝোল ফুটে উঠলে ধোঁকাগুলি দিয়ে দিন। মিনিটখানেক পর ঘি আর গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ধোঁকার ডালনা।

বাসন্তী পোলাও :  প্রথমে একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে কাজু ভেজে তুলে রাখুন। এবার ঘি তুলে নিয়ে সেই কড়াইয়েই জল দিয়ে দিন। জল ফুটে উঠলে জলে দিয়ে দিন তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি আর সামান্য হলুদ গুঁড়ো। আবার জলে দিয়ে দিন আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা গোবিন্দভোগ চাল।

তাতে মিশিয়ে দিন কেওড়া জল আর গোলাপ জল। চাল ৯০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে চাল থেকে জল ঝরিয়ে নিন। এবার একটি বড় পাত্রে অর্ধেকটা গরম ভাত ঢেলে দিন। এবার তার উপর ছড়িয়ে দিন কাজু-কিশমিশ আর অর্ধেকটা চিনি আর পরিমাণ মতো ঘি। এবার বাকি ভাতটা দিয়ে উপর থেকে বাকি কাজু-কিশমিশ, চিনি আর ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ৫ মিনিট পর ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বাসন্তী পোলাও।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মা সেজেছেন দশ হাত-পায়ে, বসিরহাটেই এবার উজ্জয়ণের মহাকালেশ্বর মন্দির

ভাইফোঁটায় নিজের হাতে বানিয়ে নিন এই স্ন্যাকস গুলো, খুশি হবে ভাই

মা কালীকে বিসর্জন দিতে গিয়ে কালীর কোলে বিলীন হয়েছিলেন রামপ্রসাদ 

৪০০ বছর আগে ডাকাতদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই কালী পুজো

ঘরে উপচে পড়বে ধন-সম্পদ, জেনে নিন দীপাবলিতে লক্ষীপুজোর সময়কাল এবং নিয়ম

সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে মানত করেন মুসলিমরাও

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর