নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়ায় মোটিভেশনাল স্পিকার(Motivational Speaker) কিংবা ধর্মগুরু হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন নিজের ইমেজ পরিষ্কার রাখা। এতদিন যাবৎ সেই চেষ্টাই করে আসছিলেন কলকাতায় বেড়ে ওঠা তথাকথিত কৃষ্ণসাধিকা জয়া কিশোরী(Jaya Kishori)। কিন্তু সম্প্রতি একটি ব্যক্তিগত ভুলের কারণে নিজেই নিজের মুখোশ খুলে ফেলেছেন ‘কমবয়সী গুরু মা’। নতুন প্রজন্মকে মোহ মায়া ত্যাগের কথা বলে তিনি নিজেই ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার হাতব্যাগ নিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। এই কীর্তি দেখে নেটিজেনরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন। জয়া কিশোরী(Jaya Kishori Trolled) যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাই তিনি ট্রোলিংয়ের উত্তরে তৎক্ষণাৎ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ভেবেচিন্তে অবশেষে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একেবারে পালটি খেলেন অনলাইনের কৃষ্ণসাধিকা।

আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের জের, কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ

২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার হাতব্যাগ ব্যবহার করার প্রসঙ্গে তিনি সাফাই দেন, তিনি কিন্তু কোনোভাবেই লেদার অর্থাৎ পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করেন না। এই ব্যাগটি তিনি কাস্টোমাইজ করে নিজের জন্য বানিয়েছেন। সেই কারণেই হাতব্যাগটিতে তাঁর নাম খোদাই করা ছিল। এছাড়াও বহুমূল্য ব্যাগ ব্যবহার করার নেপথ্যে তার যুক্তি, মানুষ যখন কোনও জিনিস কেনে তখন সবসময় ব্র্যান্ড দেখে কেনে না, বরং যেটা পছন্দ হয় সেটাই কিনে নেন। তিনিও তাই করেছেন। তবে আবারও তিনি উল্লেখ করেছেন তাঁর ব্যাগটি তৈরি করতে লেদার ব্যবহার করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা দিয়ে লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি কাঠমিস্ত্রি

এছাড়া পডকাস্টে কিংবা ধর্মীয় আলোচনার আসরে মাইকের সামনে মোহ মায়া ত্যাগের কথা বললেও এদিনের প্রতিক্রিয়ায় পুরোপুরি পালটি খেয়ে জয়া কিশোরী বলেন, ‘আমি কখনই তরুণ প্রজন্মকে মোহ-মায়া ত্যাগের কথা বলিনি। আমি নিজে যখন কিছু ত্যাগ করিনি তখন এসব কেন বলতে যাব?’ জয়া কিশোরী আরও বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি আমি কোনও সাধু, সন্ত বা সাধ্বী নই। আমি খুব সাধারণ মেয়ে। সাধারণ বাড়িতে থাকি। নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকি। আমি আগামী প্রজন্মকে এটাই বলি যে পরিশ্রম করুন। অর্থ উপার্জন করুন। নিজেকে একটা ভালো জীবন দিন এবং নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করুন।’ যদিও ট্রোলের উত্তরে সাফাই গেয়েও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি অনলাইন মোটিভেশনাল স্পিকার।