এই মুহূর্তে




নৈহাটির বড়মা এবার ১০১ ভরি সোনা ও ২০০ কেজি রুপোর গয়নায় সেজে উঠবেন

Courtesy - Pinterst




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই কালীপুজো(Kali Puja)। আর নৈহাটির(Naihati) বড়মা’র(Boro Maa) কথা কে না জানে। লাখো মানুষের ভিড়ে আগামিকাল সরগরম হয়ে উঠবে নৈহাটির বড়মার মন্দির সংলগ্ন এলাকা। সেই ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খায় প্রশাসন। শয়ে শয়ে পুলিশ দিয়েও সেই ভিড় সামাল দেওয়া যায় না। এই অবস্থায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি থাকছে খোদ বড়মার গয়না নিয়েও। কেননা তথ্য বলছে এবার বড়মা সেজে উঠবেন ১০১ ভরি সোনা ও ২০০ কেজি রুপোর গয়নায়(101 Bhori Gold and 200 kg Silver Jewellery)। গত বছরই বড়মা’র পুজোর ১০০ বছরে পা দিয়েছে। এবার ১০১তম বছর। ঘটনা হচ্ছে আগামিকাল কালীপুজো হলেও বড়মার কাছে গত ২৪ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মানতের পুজো দেওয়া। এদিন অর্থাৎ বুধবার ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সেই মানতের পুজো। আগামিকাল ফলপ্রসাদ ও সন্দেশের পুজো নেওয়া হবে। আগামিকাল রাত ১১টায় পুজোতে বসবেন পুরোহিত। রাত ১টা নাগাদ হবে অঞ্জলি। তার পর শুরু হবে ভোগপ্রসাদ বিতরণ। চলতি বছরে ৪ হাজার কিলো ভোগের আয়োজন থাকছে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি।

আরও পড়ুন, উপনির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

বাংলায় বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর লাখো ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন মাকে একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই মানতের সূত্রেই প্রতি বছর মায়ের কাছে সোনা আর রূপোর হয়না পড়ে। অনেকেই মানত করেন, সেই মানত পূর্ণ হলে তাঁরা মাকে গয়না দেন। বছরের পর বছর ধরে সেই গয়না পড়তে পড়তে এখন মায়ের ১০১ ভরি সোনা ও ২০০ কেজি রুপোর গয়না হয়ে গিয়েছে। সেই সোনা আর রূপোর গয়না দিয়েই এবার সেজে উঠবেন নৈহাটির বড়মা। সবথেকে বড় কথা নৈহাটির বড়মার গায়ের গয়না থেকে ভোগ, পুজোর সামগ্রী, পুজোর সমস্ত খরচ করে থাকেন সাধারণ ভক্তরা। এই পুজো সার্বজনীন হলেও কারও কাছ থেকে কখনও চাঁদা বা দক্ষিণা নেওয়া হয় না। শোনা যায়, বড় মা সোনা ও রূপা ছাড়া আর কোনও ধাতুর অলঙ্কার পরেন না। তাই ভক্তরাই মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোনা ও রুপোর গয়না মানত হিসেবে দিয়ে থাকেন। হিসেব বলছে, প্রায় দেড় কোটি টাকার গয়না পড়েন বড় মা। প্রতিবছর কালীপুজোয় সেই গয়না পরিয়ে পুজো করা হয়। স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন বড়মা।

আরও পড়ুন, ধনতেরাসের রাতে শব্দবাজির দাপটে কাঁপলো কলকাতা

বড়মার পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোন পুজো শুরু হয় না। একদিন নয়, টানা পাঁচদিন ধরে চলে বড়মার উপাসনা। নিরঞ্জনের দিন দেবীমূর্তিকে ফুলের সাজে সাজিয়ে গোটা এলাকায় বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের মতে, বড় মায়ের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোনও কালীমূর্তিকে বিসর্জন করা যায় না। নৈহাটিতে বড়মা’র পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন। তাই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়। প্রথমে সকলে ভবেশ কালীই বলে ডাকতেন, তারপর বিশালাকার মূর্তির জন্য সবাই বড়মা বলে ডাকতে শুরু করেন। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। আগামিকাল সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই মাকে গয়না পড়ানোর পালা শুরু হবে। মায়ের সারা শরীর ঢাকা পড়বে সোনা আর রূপোর গয়নায়। একইসঙ্গে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে গঙ্গা স্নান করে মায়ের থানে আসার দণ্ডিকাটার পালা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মা সেজেছেন দশ হাত-পায়ে, বসিরহাটেই এবার উজ্জয়ণের মহাকালেশ্বর মন্দির

ধনতেরাসের দিন সোনার দোকানে চুরির চেষ্টা, ধৃত তিন মহিলা

হাতের টিপসই নিয়ে স্লিপ দিয়ে রেশনের সামগ্রী প্রতারণার অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

মধ্যমগ্রামের বেসরকারি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে ১ শ্রমিকের মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ আরো ৩

বারাসতের বাদুবাজারে তেলের কারখানায় আগুন, বেশ কয়েক জন দগ্ধ

খালি হাতে ফেরান না কাউকে কুলপুকুরের এই জাগ্রত কালী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর