এই মুহূর্তে




নৈহাটিতে তৃণমূলের শক্ত জমিতে পদ্ম ফোটাতে চরকি পাক খেয়ে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী




নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী ১৩ নভেম্বর নৈহাটি বিধানসভার উপনির্বাচন (Naihati Byelection 2024)। তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত জমিতে পদ্ম ফুল ফোটাতে তাই দিন রাত এক করে কার্যত চরকি পাক খেয়ে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র। বড় সভা কিংবা সমাবেশের পরিবর্তে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের উপরে জোর দিয়েই বাজিমাত করতে চাইছেন তিনি। মঙ্গলবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেছেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তিনিই জিতবেন। নৈহাটির সংসদীয় জমিতে ফুটবে পদ্ম ফুল।’

এক সময়ে বামেদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত নৈহাটি ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সাড়ে তিন বছর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা পার্থ ভৌমিক। গত মে মাসে লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর আসনে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হয়ে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা অর্জুন সিংকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছেন তিনি। আর তার পরেই নৈহাটির বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন পার্থ। ফলে শূন্য হয় আসনটি। সেই শূন্যতা ভরাট করতে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হচ্ছে।

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সন‍ৎ দে। তিনি ব্যারাকপুরের বর্তমান সাংসদ পার্থ ভৌমিকের ভাবশিষ্য হিসাবেই পরিচিত। তাছাড়া নৈহাটি পুরসভার পুর পারিষদ হিসাবে এলাকায় যথেষ্টই পরিচিতি রয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ভরসা রেখেছে হালিশহরের বাসিন্দা তথা ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্রের উপরে। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ ভালই জানেন, আসলে তাঁর প্রতিপক্ষ সন‍ৎ দে নন, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। কিন্তু শাসকদলকে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা রূপকবাবু। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে সময় নষ্ট না করেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। প্রত্যেকদিন খুব সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রচার শুরু করছেন। দিনভর চরকি পাক খেয়ে বেড়াচ্ছেন। বহুতল বাড়ি থেকে বস্তি, বাঙালি পাড়া থেকে অবাঙালি অধ্যুষিত মহল্লার প্রত্যেকটি বাড়িতে ঢুঁ মারছেন। নৈহাটি থেকে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে এক আধুনিক শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্রকে ১৯ হাজারের কাছাকাছি ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন পার্থ ভৌমিক। মে মাসে লোকসভা ভোটে নৈহাটি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের তুলনায় তৃণমূল প্রার্থী এগিয়েছিলেন। তাছাড়া উপনির্বাচনে সবসময়েই শাসকদলের প্রার্থীর জয়ের একটা ট্র্যাডিশন লক্ষ্য করা যায়। যদিও অতীতের ফল নিয়ে ভাবতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র। তাঁর কথায়, ’১৩ নভেম্বর যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে আমার জয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। আমরা ভয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। গোটা নৈহাটি বিধানসভা জুড়ে শাসকদল ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি, সবখানেই একই কথা শুনছি, শান্তি চাই। বিধায়ক যদি হতে পারি তাহলে এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য খতম করে শান্তি ফেরানোই প্রথম লক্ষ্য হবে আমার।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মা সেজেছেন দশ হাত-পায়ে, বসিরহাটেই এবার উজ্জয়ণের মহাকালেশ্বর মন্দির

উদ্ধার হাজার হাজার টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি  

১১ হাজার ভোল্টের ঝটকা, কালীপুজোর দিনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বালকের

টানা চারদিনের ছুটি, সামনে এল ২০২৫ সালে কালীপুজোর সময়সূচী  

বর্ধমানে একই লাইনে হাজির দুটি গাড়ি, আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ যাত্রীদের

২ বছর পর পুজোতে থাকছেন অনুব্রত, কত ভরিতে সাজবেন ‘কেষ্টর কালী’ ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর