এই মুহূর্তে




অনশন আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশও, ট্যুইট কুণালেরও

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্রতিবাদের শপথ ছিল একটাই, আন্দোলন হবে অরাজনৈতিক। কিন্তু সেই শপথ যে বহুদিন আগেই ভেসে চলে গিয়েছে সেটা এখন মানছেন রাজ্যের অনেক চিকিৎসকই যারা এই আন্দোলনের সঙ্গে এখনও জড়িত। পুজোর মাঝে অনশন আন্দোলন(Hunger Strike) যেমন তাঁরা সমর্থন করছেন না, তেমনি সমর্থন করছেন না পুজো মণ্ডপে গিয়ে বিচার চাই বা সরকার বিরোধী শ্লোগান তোলার বিষয়গুলিও। এই আবহে সপ্তমীর সকালে ট্যুইট করেছেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। জানিয়েছেন, ‘অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করি। সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পর এবং রাজ্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ চালানোর সময়; পুজো ও বন্যা পরিস্থিতিতে রাজনীতির অঙ্কে এই অনশন বাঞ্ছনীয় নয়। প্ররোচকরা কয়েকজনের স্বাস্থ্যের বিনিময়ে এই কাজটা করে চলেছেন। প্রতিবাদ কর্মসূচি রাখতেই পারেন, অনশন প্রত্যাহার হোক। কিছু শকুন অসুস্থতা চাইছে এবং সেই দৃশ্যপট নিয়ে অরাজকতা তৈরির অপেক্ষায়। এরা সব বৈঠকই গায়ের জোরে বিফলে পাঠাবে। আমরা সমাধান ও সুস্থতা চাইছি।’

আরও পড়ুন, গ্রেফতার হওয়া ৯ সঙ্গীকে ছাড়াতে সপ্তমীর সকালেও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে ধর্নায় আন্দোলনকারীরা

বুধবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের(Junior Doctors) আলোচনায় ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল তাঁদের। গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই বৈঠক ‘নিষ্ফলা’। কোনও দাবি নিয়েই কোনও সদুত্তর মেলেনি সরকারের তরফে। কেউ কেউ বৈঠক থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বৈঠক শেষে অন্য কথা বলেন মুখ্যসচিব(Chief Secretary of West Bengal) মনোজ পন্থ(Monoj Panth)। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আজকের আলোচনাকে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা হিসাবেই নেবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সব আলোচনাই ইতিবাচক হয়। আজকের আলোচনাকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হলে ভালই হবে। ওরা অনশন থেকে উঠুন। দরকারে আবার আলোচনায় বসব।’ যদিও অনশন তোলার কোনও লক্ষ্যণই দেখা যাচ্ছে না। এই ছবি ক্ষুব্ধ করছে চিকিৎসকদের একাংশকেও। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আন্দোলনটাই হাইজ্যাক করে নিচ্ছে অতিবাম রাজনীতি। তাই দিশা হারাচ্ছে প্রতিবাদ।

আরও পড়ুন, পুজোর আনন্দ উধাও, সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে

আন্দোলনের মধ্যে থাকা চিকিৎসকদের একাংশ এখন বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই জানিয়েছেন, ‘আমাদের অনশনের কর্মসূচিতে সমর্থন দিতে হচ্ছে। কেন এই অনশন? রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে? রাজ্য কি আমাদের দাবি মানেনি? আলোচনায় বসেছে। দাবিও মেনেছে। এবার পরিকাঠামো তো একদিনে হয়ে যাবে না। সে জন্য একটু সময় দিতেই হয়। ওরা যে ডেডলাইন দিয়েছে, সেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করব না? ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে আন্দোলন তীব্র করার সুযোগ ছিলই। মানুষের মনেও আন্দোলনের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন জাগত না। আস্থা বজায় থাকত। অত্যন্ত উগ্র অভিমুখে এই আন্দোলন নিয়ে যাওয়ার একটা রাজনৈতিক চেষ্টা চলছে। তা আন্দোলনের উদ্দেশ্য নয়। ডাক্তারদের ফ্রন্ট ভাগ হয়ে গিয়েছে। সামনে সেটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, আন্দোলনের প্রতি আমাদের প্রত্যেকের আবেগ রয়েছে। দিনরাত কর্মসূচি নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে অন্দরে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

সন্ধিপুজোর আগেই  আকাশছোঁয়া পদ্মের দাম, মাথায় হাত আয়োজকদের

Durga Pujo: সম্প্রীতির নজির গড়ল নানুর, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামে চলছে দুর্গা পুজো

পুজোর আনন্দ উধাও, সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে

সপ্তমীতেও ভোগাবে অসুর বৃষ্টি, ১০ জেলায় সতর্কতা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর