এই মুহূর্তে




মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরে জমি ফেরত পেতে আশাবাদী জমিহারারা

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি নবান্নে হয়ে যাওয়া রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি জমি বেদখল করে যারা বাড়ি করেছেন অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে হবে। এনিয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশের পরে পরে এখন রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার সদর শহর বর্ধমান টাউন(Burdwan Town) লাগোয়া গাংপুরের জমিহারারা আশায় বুক বাঁধছেন তাঁদের জমি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে। বর্ধমান শহর লাগোয়া গাংপুরে(Gangpur) জমির দাম ঊর্ধ্বমুখী। জাতীয় সড়কের পাশে বহু খাসজমি রয়েছে। সেই সব জমি প্লট করে বিক্রি হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমজনতার জমিও জবরদখল করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। জমির মালিক কার্যত ভিখারির মতো দাম পাচ্ছেন। কোথাও বা সেটাও পাচ্ছেন না। এমনই অভিযোগ এখন উঠে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের পরে এখন এই জমিহারারা(Land Loosers) নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার জন্য।  

আরও পড়ুন, ‘বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে, ওরা কি Notorious Criminal নয়’, প্রশ্ন শ্রীশদের

চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই প্রত্যেকটি দফতর এবং জেলা প্রশাসন নিজ নিজ জমি চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরির কাজে নামে। সরকারি জমিতে বোর্ড লাগানোর কাজ শুরু করা হয় রাজ্যের তরফে। সরকারি জমি যাতে কোনও ভাবেই বেহাত না-হয়, তার জন্য প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেয় রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সেই সূত্রেই সামনে আসে গাংপুরে সরকারি জমি বিক্রি করেই কয়েকজন প্রভাবশালী কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। গাংপুরে জাতীয় সড়কের পাশে বহু খাসজমি রয়েছে। সেগুলিই একশ্রেণির প্রভাবশালী প্লট করে বিক্রি করছে। এক প্রভাবশালী নিজে সরকারি জমিতে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৪-৫ বছরের মধ্যে কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারি জমি বিক্রি করেই কোটিপতি হয়ে উঠেছে। একসময় এক প্রভাবশালী সাইকেল চালিয়ে ঘুরত। এখন সে গাড়ি নিয়ে ঘোরে। সম্প্রতি গাংপুরে প্রায় ১০বিঘা খাসজমি দখলের চেষ্টা করে মাফিয়ারা। মেশিন নামিয়ে এলাকা পরিষ্কার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর পেয়ে বাধা দেন। তারপরই তারা চম্পট দেয়। ওই জমি দখলের পিছনেও এক প্রভাবশালীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। ৪ বছর আগে তারা ওই এলাকার খাসজমি ২ লক্ষ টাকা কাঠায় বিক্রি করেছে। এখন সেই জমিই ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন, রাজ্য পুলিশে চালু অনলাইনে বদলির আবেদন, খুশ নীচুতলার আধিকারিক ও কর্মীরা

গাংপুর এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, রাজ্য প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে গাংপুর এলাকায় আর খাসজমি পড়ে থাকবে না। মাফিয়ারা সবই প্লট করে বিক্রি করে দেবে। প্রভাবশালীদের হাত মাথায় থাকায় মাফিয়াদের আটকে রাখা যায়নি। এলাকা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই বাইরে থেকে এখানে এসে জমি কিনছেন। নকল দলিল তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। গাংপুরে এই সংস্কৃতি আগে ছিল না। কারও ব্যক্তিগত জমি ফাঁকা পড়ে থাকলেও কেউ দখল করত না। কিন্তু এখন জমি কিনে ফাঁকা ফেলে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক বাসিন্দাদেরই অভিযোগ কার্যত তাঁদের ভয় দেখিয়ে জলের দরে জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কাঠা প্রতি যে জমির দাম ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হওয়ার কথা, সেই জমিই তাঁদের কাছ থেকে জোর করে ২-৩ লক্ষ টাকায় কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিনে নেওয়া হয়েছে। সেই সব জমিই এখন বিখি হচ্ছে কাঠা প্রতি ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দরে। যদি সরকারি খাস জমি কেউ কিনে সেখানে বাড়ি করে আর তারপর রাজ্য সরকার যদি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে তাহলে আমজনতার ক্ষেত্রে কেন তাঁরা তা করবেন না!




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মা সেজেছেন দশ হাত-পায়ে, বসিরহাটেই এবার উজ্জয়ণের মহাকালেশ্বর মন্দির

উদ্ধার হাজার হাজার টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি  

১১ হাজার ভোল্টের ঝটকা, কালীপুজোর দিনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বালকের

টানা চারদিনের ছুটি, সামনে এল ২০২৫ সালে কালীপুজোর সময়সূচী  

বর্ধমানে একই লাইনে হাজির দুটি গাড়ি, আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ যাত্রীদের

২ বছর পর পুজোতে থাকছেন অনুব্রত, কত ভরিতে সাজবেন ‘কেষ্টর কালী’ ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর